শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সাম্প্রদায়িক কটাক্ষের শিকার ইয়াশ রোহান, পাশে মেহজাবীন, আরশরা *** দেশের পতাকা নিয়ে গাজামুখী ‘মিডিয়া ফ্লোটিলায়’ শহিদুল আলম *** বিদেশি নম্বর থেকে জাজিরা থানার ওসিকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি *** ইহুদি উপাসনালয়ে হামলাকারী জিহাদ সম্পর্কে যা জানা গেল *** অন্যের ওপর দোষ চাপানো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অভ্যাস’: ভারত *** পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের *** মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান *** ফ্লোটিলা বহর আটকের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ *** ভারতের ধনী নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৫০১৭০ কোটি নিয়ে শীর্ষে জয়শ্রী, ষষ্ঠ বলিউড নায়িকা *** ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল ট্রাইওন্ডা আসলে কী

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব : যা নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

অনেক দম্পতিকেই দেখা যায় সন্তানের আশায় উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেককে শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়। সন্তান না হওয়ার দায়টা আমাদের সমাজে নারীর ওপরই বর্তায়। তবে এতে পুরুষ সঙ্গীর ভূমিকাও অনেক সময় প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের সমস্যার কারণে সন্তান হয় না।

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন শুক্রাণু তৈরি না করতে পারা। ৩০-৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাশয়ের গুণগত ত্রুটি, ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাণু বেরোনোর পথে প্রতিবন্ধকতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ১-৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হরমোনজনিত সমস্যার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিটুইটারি গ্রন্থি বা হাইপোথ্যালামাসের সমস্যা এ ক্ষেত্রে অন্যতম দায়ী।

পড়ুন ডোপ টেস্ট কী? কীভাবে ও কোথায় করা হয়?

পুরুষদের বন্ধ্যত্ব শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোগীর পরিপূর্ণ তথ্য ও ইতিহাস জানা। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন করা হয়। অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা, সংক্রমণ, ধূমপান ও বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার, পরিবেশের নানাবিধ দূষণও দায়ী হতে পারে। এ ছাড়া শুক্রাশয়ের সংক্রমণ, ফুলে যাওয়া কিংবা জেনেটিক বা ক্রোমোজমাল সমস্যা দেরিতে ধরা পড়ার কারণেও সন্তান না হতে পারে।

সন্তান দেরিতে হচ্ছে এমন দম্পতির ক্ষেত্রে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীরও কিছু জরুরি পরীক্ষা করা উচিত। যেমন, সংক্রমণ, রক্তের শর্করা পরীক্ষা, সিমেন অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে শুক্রাণুর সংখ্যা, আকৃতি, চলনক্ষমতা নির্ণয় ইত্যাদি। অনেক সময় শুক্রাণু চলাচলের নালিটি সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জন্মগতভাবেও নালিটি বন্ধ বা অসম্পূর্ণ থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করা যায়। পুরুষের হরমোন টেস্টোস্টেরনের অভাব থাকলে প্রয়োজনে ইনজেকশন নিয়ে সমস্যার সমাধান করা যায়। আগে ভ্যাসেকটমি করা থাকলে পুনঃসংযোগের মাধ্যমে পুরুষের প্রজননক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়।

মনে রাখতে হবে, জিনগত ও ক্রোমোজোমাল ত্রুটিতে, শুক্রাশয় কোনো কারণে (সংক্রমণ, আঘাত ইত্যাদি) চিরতরে নষ্ট হলে উন্নতির সম্ভাবনা নেই। তবে শুক্রাণুর সংখ্যা, আকার ও চলনক্ষমতার ত্রুটি থাকলে সীমিত পর্যায়ে ভালো ফল আশা করা যেতে পারে। তাই পুরুষ বন্ধ্যাত্বে লজ্জা নয়, মন খুলে ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।

এস/ আই.কে.জে/

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব পুরুষ স্বাস্থ্য বন্ধ্যাত্বের কারণ স্বাস্থ্য সমস্যা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250